Shisir Kumar Nath / Folk Art

আবহমান বাঙলার লোকশিল্প 

লোক ও কারু শিল্প বাঙালির ঐতিহ্যের মূর্ত প্রতীক।লোকশিল্প এবং লোকসংস্কৃতির সাথে রয়েছে আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য, চিন্তা-চেতনা,অনুভূতি ইত্যাদির গভীরতম সম্পর্ক।একটি জাতিকে জানা যায় তার শিল্পচর্চার ধারা দেখে।বুঝা যায় জাতিটি সংস্কৃতিতে কতটা এগিয়েছে।সেক্ষেত্রে লোকশিল্প আমাদের আত্মপরিচয়ের ধারক।কালের করালগ্রাসে  অনেক শিল্পকর্মই আজ বিলুপ্তির পথে।নিজের দায়িত্ববোধ আর ভালোলাগা থেকে বাংলার বিলুপ্তপ্রায় লোকশিল্প সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অশেষ কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানাই "বিএমসিসি" কে  ব্যতিক্রমধর্মী একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করার জন্য।দেশীয় শিল্প সংস্কৃতির জয় হোক।বেঁচে থাকুক সত্য-সুন্দরের চর্চা।
শিশির কুমার নাথ
শিক্ষক ও সংগ্রাহক



                নকশিকাঁথা 
   প্রাপ্তিস্থান: ঢাকা              
নকশিকাঁথা বাংলাদেশের লোক ও কারুশিল্প।প্রকৃতি,পরিবেশে গ্রামের সাধারণ মানুষের উপযোগিতার প্রেক্ষিতে এদেশের মেয়েদের অনুভব ও চেতনা নকশিকাঁথায় বিধৃত হয়েছে।ময়মনসিংহ গীতিকার অন্যতম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর "রামায়ন কাব্যে" নকশিকাঁথার বিবরণ পাওয়া যায়।
   "সীতার গুণের কথা কি কহিব আর....।
   কান্থায় আঁকিল কন্যা চান সুরুয পাহাড়।।
                       (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের কারুশিল্পী ও শিল্পকর্ম- রবীন্দ্র গোপ)
                  নকশিপাখা
   প্রাপ্তিস্থান: সোনারগাঁ 
  সেই প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত নানা ভাবে পাখার ব্যবহার চলছে।রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় এই পাখা একটি আলংকারিক শিল্পে রূপলাভ করেছে।ধর্মীয় ও রাজকীয় অনুষ্ঠানাদিতে অলংকৃত হাতপাখার ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে।এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটেনিকার ভলিয়াম ৪ এ হাতপাখার প্রাচীনত্ব সম্পর্কে উল্লেখ পাওয়া যায়।এখানে যে দুটি ধারার উল্লেখ রয়েছে তার প্রথমটির সঙ্গে বাংলাদেশের হাতপাখার মিল পাওয়া যায়।আজকের আধুনিক ধারার চিত্রকলার ফোক ফর্মের ধারার জন্য এই পাখার চিত্রকলার কাছে আধুনিক শিল্পীরা বহুলাংশে ঋণী।
   
 (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের কারুশিল্পী ও শিল্পকর্ম- রবীন্দ্র গোপ)
সুতার তৈরি কৌটা/ঝাঁপি
সূচিশিল্প আমাদের দেশের মেয়েদের একটি সহজাত শিল্পগুণ।একসময় সূচিশিল্পে পারদর্শিতাকে বিশেষ দক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সুই-সুতা দিয়ে করা এরকম কাজ সত্যিকার অর্থেই নিপুণতার দাবি রাখে
লক্ষ্মীসরা   
লক্ষ্মীসরা মূলত সরাচিত্র।সরার ওপর অংকিত ও চিত্রিত চিত্রকর্ম।এটি প্রাচীন একটি লোকচিত্র। এই সরাচিত্রে দেবী লক্ষ্মীর অবস্থানের কারণে এটি লক্ষ্মীসরা নামে পরিচিত।যুগ আবর্তনে দুর্গা যেমন রাজা-রাজড়া জমিদার থেকে সার্বজনীন পূজাতে পরিণত হয়েছে লক্ষ্মী তা হাজার হাজার বছর আগে সর্ব জনগণের মধ্যে আসন করে নিয়েছে।সরাচিত্রে আশ্রয় না নিলে তা সম্ভব হতো না। আর কাজটি করেছেন বাংলার সাধারণ লোকশিল্পীগণ।
                    ( তথ্যসূত্র:   বুলবন ওসমান,সাবেক অধ্যাপক, ঢাবি)
 বর-বৌ পুতুল
  প্রাপ্তিস্থান: সিলেট
  শিল্পী: বাপ্পা দেব নাথ
" চম্পা ফুলের গন্ধে /জামাই আইছে আনন্দে " (ময়মনসিংহ) 
            
     " আজ ফুতলির বিয়া/ফুতলিরি নিয়া যাবে ঢাকে বাড়ি দিয়া।" ( ফরিদপুর)
     
ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের দুটি ছড়াগানে পুতুল বিয়ের আনন্দ-বেদনার চমৎকার ছবি ফুটে উঠেছে। বাংলার সর্বত্রই পুতুল খেলা সমান জনপ্রিয়।বর্তমানে পুতুল শৌখিন মানুষের সংগ্রহেরও বস্তু।মোবাইল কম্পিউটারের আধিপত্যে এসব লৌকিক খেলা প্রায় বিলুপ্তির পথে।( তথ্যসূত্র:উইকিপিডিয়া) 
পুতুল: মা ও শিশু
প্রাপ্তিস্থান: সিলেটের একটি মেলা
উপাদান : পোড়ামাটি

লোকায়ত বাংলার লোকজীবনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে মাটির পুতুল।এর মধ্যে অন্যতম হলো মা ও শিশু। এটি যেন মা-সন্তানের শাশ্বত বন্ধনের মূর্ত প্রতীক।মহেঞ্জোদারো সভ্যতার মাটির নির্দশনেও মা-মূর্তি(Mother goddess) পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে নীহার রঞ্জন রায় বলেন," সেই প্রাগৈতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতার আমলে সিন্ধু নদের তীরে বসিয়া সমসাময়িক লোকেরা যে পুতুল তৈরি করিত বাংলার গ্রামে নদীর ধারে,পুকুরপাড়ে, বটের ছায়ায় বসিয়া বাঙালি কুমোর,ব্রতধর্মী নারী আজও তাহাই করে"( তথ্যসূত্র: নীহার রঞ্জন রায়, বাঙালির ইতিহাস,আদিপর্ব) 

টেপা পুতুল
                  
  প্রাপ্তিস্থান:কিশোরগঞ্জ 
  শিল্পী: সুনীল চন্দ্র পাল               
                  
 টেপা পুতুলকে ইংরেজিতে বলে 'Pinch Skils of Finger'.  হাতে টিপে টিপে তৈরি হয় বলে একে টেপা পুতুল  বলা হয়।এর ইতিহাস প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগের। আমাদের দেশের পুতুলগুলোতে আমরা  সেই  মহেঞ্জোদারোর পুতুলের আদল লক্ষ্য করি যা সত্যিই শিল্পকলার ঐতিহাসিকগণকে বিস্মিত করে।
               (  তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের কারুশিল্পী ও শিল্পকর্ম- রবীন্দ্র গোপ)
পোড়ামাটির ফলক
মৃৎশিল্প মানব জাতির একটি প্রাচীনতম শিল্প।আর মৃৎশিল্পের একটি অতুলনীয় নিদর্শন হলো পোড়ামাটির ফলক।পোড়ামাটি দিয়ে মন্দির অলংকরণের ক্ষেত্রে মৃৎশিল্পীরা যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তা সংস্কৃতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।

মাটির ব্যাংক 
  প্রাপ্তিস্থান: রাজশাহী
  শিল্পী: সুশান্ত কুমার পাল( রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিল্পী)
  ছোট বেলায় মাটির ব্যাংকে টাকা জমায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে মাটির ব্যাংকে টাকা জমানোর শৈশব স্মৃতি ভুলতে পারবেন? সঞ্চয়ী মনোবৃত্তি গড়ে তোলার কাজে এই মাটির ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বাহারি রঙ আর ডিজাইনে মাটির ব্যাংক যেন অনন্য।আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পী সুশান্ত পালের এ কাজ সে কথাই জানান দেয়।
পানবাটা 
  অতিথি আপ্যায়ন, পূজাপার্বণ,শুভকাজ সবক্ষেত্রে   পান ও সুপারি ব্যবহারের চল এখনও রয়ে গেছে।বাহারি পানবাটা আভিজাত্যের পরিচয় বহন করে।স্বদেশিযুগে ঠাকুর মা - দিদিমারা বিপ্লবীদের নাম লিখে রাখতেন পানের বাটায়।কেউ লেখাতেন যতীন, কেউ লেখাতেন মাতঙ্গিনী। এই ভাবে অগ্নীযুগের  বিপ্লবীরা মা-দিদিমাদের ঘরের সন্তান হয়ে যেতেন।ইউসুফ জুলেখা বা রূপবান কন্যার কাহিনীতে রূপোর পানবাটার উল্লেখ আছে।মনসামঙ্গল কাব্যে উল্লেখ আছে চাঁদ সদাগরের স্ত্রী সনকা পানের সঙ্গে এমন মিশ্রণ তৈরি করতেন যাতে ঠোঁট লাল টকটকে হয়।প্রজন্মের পরিবর্তনে এসব দৃশ্য এখন অদৃশ্য হয়েছে।শুধু আজও বেশ কিছু বাড়িতে 'মেমেন্টো'র হয়ে রয়ে গেছে পূর্বপুরুষদের ব্যবহৃত আকর্ষণীয় পানের ডাবর,বাটা,আর রকমারি মশলার বাহারি কৌটো।( মূললেখা: দেবদত্ত গুপ্ত)
সিঁদুর কৌটো 
 প্রাপ্তিস্থান: ঢাকা
 উপাদান:পিতল
 সনাতন ধর্মের নারীরা সিঁদুরকে মঙ্গলের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। একসময়ে রাণী-মহারাণী এবং অভিজাত শ্রেণির রমনীরা এ জাতীয় বাহারি সিঁদুর কৌটো ব্যবহার করতেন।
ডোকরা শিল্প( প্রদীপ) 
 প্রাপ্তিস্থান: ঢাকা
 উপাদান: পিতল
 ডোকরা হলো "হারানো মোম ঢালাই"  পদ্ধতিতে তৈরি একটি শিল্পকর্ম। এই শিল্পের ইতিহাস প্রায় ৪০০০ বছরের পুরনো।সিন্ধু সভ্যতার শহর মহেঞ্জোদারোতে প্রাপ্ত "ড্যান্সিং গার্ল" বা "নৃত্যরত নারী" হলো ডোকরা শিল্পের নিদর্শন।এটি একটি প্রাচীন শিল্পকর্ম।(তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া) 
 
কাগজের মুখোশ
 প্রাপ্তিস্থান: সোনারগাঁ, ঢাকা।
 অলৌকিক সত্তার প্রতি শ্রদ্ধা বা ভয় থেকে মুখোশের উদ্ভব।প্রাচীনকালে শিকার, শস্যসংগ্রহ ইত্যাদি কাজে আত্মার প্রতিকৃতির মুখোশ পরা হত।আবার শিকারজীবীরা শিকারের প্রাণীর মুখোশ ও চামড়া পরত ঐ প্রাণীকে ভোলাবার জন্য। বর্তমান সময়ে গম্ভীরার কালীনাচ, উত্তরবঙ্গের মুখখেইল,পশ্চিমবঙ্গের ছৌ-নাচে  মুখোশ পরে নৃত্য করা হয়।কোনো কোনো যাত্রা ও পালাগানে মুখোশের ব্যবহার হতো।এছাড়া সঙরা উৎসব পার্বনে মুখোশ পরে লোকমনোরঞ্জন করে থাকে।( তথ্যসূত্র: বাংলার চারু ও কারু লোকশিল্প - ওয়াকিল আহমদ)
 পাথরের নকশি ছাঁচ
 প্রাপ্তিস্থান: বিক্রমপুর
 উপাদান: পাথর
নকশি ছাঁচ লোকশিল্পের একটি স্থায়ী ফর্ম।মাটি, পাথর অথবা কাঠ দিয়ে বিভিন্ন রকমের ছাঁচ তৈরি হয়।এসব ছাঁচে মিঠাই,ক্ষির, আমসত্ব তৈরি হয়।খাদ্যবস্তুকে সুদৃশ্য ও মনোমুগ্ধকর করার উদ্দেশ্যে এরূপ কারুকার্য খচিত ছাঁচের পরিকল্পনা করা হয়েছে।দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর "বৃহৎবঙ্গ" গ্রন্থে এরূপ ছাঁচের উল্লেখ করেছেন।বাংলাদেশের লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর,কলকাতার গুরুসদয় দত্ত মিউজিয়াম ও আশুতোষ মিউজিয়ামে এরূপ ছাঁচ সংরক্ষিত রয়েছে। 

চিত্রিত হুক্কা
    "আরে এক টানেতে যেমন তেমন দুই টানেতে মজা/  তিন টানেতে পাইক পেয়াদা চাইর টানেতে রাজা"। (পল্লীগীতি)       
এক সময় বিভিন্ন উপাদানে তৈরি বিভিন্ন আকৃতির হুক্কা ঘরে ঘরে ব্যবহারের রীতি ছিল। রাজা জমিদার থেকে শুরু করে সাধারণ কৃষকের বাড়িতে আশ্রয় করে নিয়েছিল এই হুক্কা। এখন এটি কেবল গৃহসজ্জার অনুসঙ্গ হিসেবে টিকে আছে।
 হাড়ের তৈরি গয়নার বাক্স
    গয়নার বাক্স নিয়ে বাঙালি নারীর আলাদা একটা আবেগ কাজ করে, যা দেখা যায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের "গয়নার বাক্স" উপন্যাসে।ইতিহাসে ধাতু,কাঠ,পাথর, হাতির দাঁত ও হাড়ের তৈরি গয়নার বাক্সের নিদর্শন পাওয়া যায়।প্রদর্শিত ছবিতে হাতির হাড়ের তৈরি গয়নার বাক্স তারই সাক্ষ্য বহন করে।   
শঙ্খ শিল্প
  প্রাপ্তিস্থান:ঢাকা
  শিল্পী: অনুপ নাগ 
  শঙ্খ একই সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র ও মাঙ্গলিক অনুষঙ্গ।শঙ্খের গা খুঁড়ে যে শিল্পকর্ম করা হয় তার আলাদা মূল্য আছে।কোনো কোনো শঙ্খের সৌন্দর্যের কাছে নামকরা শিল্পীদের রিলিফ ওয়ার্কও হার মানে।প্রাচীন বাঙলার সংগীত আসর গুলোতে শঙ্খতরঙ্গ বাজানো হতো।মহাভারতে কৃষ্ণের শঙ্খের নাম ছিল পাঞ্চজন্য, যুধিষ্ঠিরের অনন্তবিজয়,অর্জুনের দেবদত্ত,সহদেবের মণিপুষ্প।এক সময় যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহৃত হতো শঙ্খ।বর্তমানে শঙ্খের এত ব্যবহার চোখে পড়ে না। 
 ( তথ্যসূত্র:দৈনিক জনকণ্ঠ, অক্টোবর ৩,২০১৯)
"শঙ্খবান্যা কাটে শঙ্খ/ কেহ তার করে রঙ্গ/মণিবান্যা বসে গুজরাটে। "  (চণ্ডীমঙ্গল-মুকুন্দরাম) 

মমি পুতুল
 প্রাপ্তিস্থান: রঘুডাঙ্গা, সোনারগাঁ 
 উপাদান: কাঠ
 শিল্পী: আশুতোষ সূত্রধর
 
সোনারগাঁয়ের কাঠের তৈরি মমি পুতুল বৌ পুতুলের শ্রেণিভুক্ত।কাঠ খোদাই করে অবয়ব তৈরি করে এবং তাতে রং দিয়ে দৃশ্যমান করা হয়।পুতুলের চারপাশে মিশরের মমির মতন আবরণ দেয়া হয় বলে মমিপুতুল নামকরণ হয়েছে। এর হাত দৃশ্যমান হলেও পা থাকে আবৃত।( তথ্যসূত্র: বাংলার চারু ও কারু লোকশিল্প- ওয়াকিল আহমদ)
তালপাতার চিত্রকর্ম
 তালপাতার চিত্রকর্ম আমাদের একটি প্রাচীন চিত্রকলা। পাল যুগে পুঁথি রচনায় চিত্রকর্ম আঁকা হতো তালপাতায়।আনুমানিক ৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে নালন্দা মহাবিহারে লেখা "অষ্টসহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা" পুঁথির বারোটি রঙিন ছবি তালপাতার ওপরে আঁকা হয়েছিল।এগুলো আমাদের ঐতিহ্যের স্মারক।
রিকশা চিত্র
প্রাপ্তিস্থান: ঢাকা

মূলত চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে রিকশা নামের বাহনের সূত্রপাত হয় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে।বাহারি ও শৌখিন পরিবহন হিসেবে ঢাকায় রিকশা আগমনের সাথে রিকশা পেইন্টিং এর সূত্রপাত হয়।রিকশা পেইন্টিংয়ে লোকায়ত ধারার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।ব্রিটিশ মিউজিয়ামে বাংলাদেশের চিত্রিত রিকশা সংগৃহীত আছে।জাপানের ফুকুয়োকা এশিয়ান আর্টি মিউজিয়ামে বাংলাদেশের রিকশা চিত্রের একটা বড় সংগ্রহ আছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনী হয়েছে।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে  "মুক্তিযুদ্ধ" রিকশা চিত্রের বিষয়বস্তু হিসেবে গুরুত্ব পায়। চিত্রকলার এই ধারার বিলুপ্তি ঘটলে পৃথিবীর শিল্পকলার ইতিহাসে একটা উল্লেখযোগ্য শৈলির অবসান ঘটবে।( মূললেখা: শাওন আকন্দ, প্রথম আলো,১৩ এপ্রিল, ২০১৪)                    


 GO BACK TO HOME PAGE

15 comments:

  1. খুবই চমৎকার সংগ্রহ। দেখে খুবই ভাল লাগল। ধন্যবাদ

    ReplyDelete
  2. অসাধারণ শিশির সাহেব

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা

      Delete
  3. স্মার্ট ডিজিটাল দুনিয়া এরকম পুরাতন সংগ্রহ দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগল।

    ReplyDelete
  4. চমৎকার সংগ্রহ।

    ReplyDelete